ঢাকা, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪
Sharenews24

শ্রমিক হিসেবে গিয়ে সিঙ্গাপুরের ব্যাংক কর্মকর্তাকে বউ বানালেন রেজাউল

২০২৪ মে ১১ ১৯:৩১:১৩
শ্রমিক হিসেবে গিয়ে সিঙ্গাপুরের ব্যাংক কর্মকর্তাকে বউ বানালেন রেজাউল

প্রবাস ডেস্ক : সিরাজগঞ্জের কামারখন্দের কর্ণসুতি গ্রামের মৃত মুকুল হোসেনের ছেলে রেজাউল করিম পারিবারিক সচ্ছলতা ফিরিয়ে আনতে ১৭ বছর আগে নির্মাণ কাজের শ্রমিক হিসাবে বাংলাদেশ থেকে সিঙ্গাপুরে পাড়ি জমান।

সেখানে দীর্ঘদিন কাজ করার সময় নিজেই একটি কোম্পানি খুলে কয়েকজনকে বিভিন্ন জায়গায় চাকরি দেন। এরপর পরিচয় হয় ইন্দোনেশিয়ান বংশোদ্ভূত সিঙ্গাপুরের নাগরিক ও ব্যাংকার জানুর সঙ্গে।

প্রথমে প্রেমের সম্পর্ক থাকলেও দুই পরিবারের সম্মতিতে এক বছর আগে সিঙ্গাপুরে বিয়ে করেন রেজাউল। বিয়ের পর সিঙ্গাপুরের স্ত্রী তার শাশুড়িকে দেখতে এবং সরাসরি শ্বশুর বাড়িতে যাওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেন। যদিও তিনি তার স্মার্টফোনে বাংলাদেশের শাশুড়ি ও আত্মীয়দের সঙ্গে কথা বলেন এবং দেখা করেন।

অবশেষে সিঙ্গাপুর থেকে বাংলাদেশে স্ত্রীকে আনেন রেজাউল। গ্রামের সবাইকে অবাক করে দিয়ে জাঁকজমকপূর্ণভাবে ঢাকা থেকে হেলিকপ্টারযোগে বউ নিয়ে সিরাজগঞ্জের কামারখন্দের কর্ণসূতি গ্রামে যান তিনি।

শনিবার (১১ মে) পৌনে ১২টায় উপজেলার নিজ গ্রামের দক্ষিণপাড়া ঈদগাঁও ময়দানে হেলিকপ্টার অবতরণের পর স্ত্রীকে নিয়ে নামার পর প্রাইভেট কারে বাড়িতে যান তিনি।

এই সময় নবদম্পতি ও হেলিকপ্টার দেখতে হাজার হাজার মানুষ ভিড় জমায়। নবদম্পতি এবং হেলিকপ্টার দেখে জনতা উল্লাস ও করতালি দেয়।

সিঙ্গাপুরের বউ ও হেলিকপ্টার দেখতে আসা ষাট বছর বয়সী আবুল কালাম বলেন, আমাদের গ্রামের ছেলে হেলিকপ্টারে করে বিদেশি বউ নিয়ে গ্রামে আসছে, খুব ভালো লাগছে। এত কাছ থেকে হেলিকপ্টার আগে কখনো দেখিনি। তাই দেখতে এসেছি।

সিঙ্গাপুর প্রবাসী রেজাউল করিম বলেন, আমি দীর্ঘদিন ধরে সিঙ্গাপুরে আছি। সিঙ্গাপুরের রীতি অনুযায়ী আমাদের বিয়ে হয়েছে এক বছর হলো। আজ আমার গ্রামে ফিরে খুব ভালো লাগছে।

নিজ গ্রামের ছেলে বউ নিয়ে হেলিকপ্টার করে আসার বিষয়ে জামতৈল ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান বদিউজ্জামান ফেরদৌস বলেন, আমার ভাতিজা সিঙ্গাপুর থেকে গ্রামের বাড়িতে বউ নিয়ে হেলিকপ্টারে করে বাড়িতে আসার কথা শুনে অত্র এলাকার বিভিন্ন গ্রাম থেকে সহস্রাধিক মানুষ দেখার জন্য এসেছে।

শেয়ারনিউজ, ১১ মে ২২৪

পাঠকের মতামত:

প্রবাস এর সর্বশেষ খবর

প্রবাস - এর সব খবর



রে