ঢাকা, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪
Sharenews24

নিউইয়র্কে জালালাবাদ ভবন এখন ফরক্লোজারে

২০২৪ জানুয়ারি ২৬ ০৭:২০:০৪
নিউইয়র্কে জালালাবাদ ভবন এখন ফরক্লোজারে

পরবাস ডেস্ক : প্রবাসের অন্যতম বড় আঞ্চলিক সংগঠন জালালাবাদ অ্যাসোসিয়েশনের নিযুক্ত অ্যাটর্নি জোসেফ ম্যাটেন জানিয়েছেন, কথিত ‘জালালাবাদ ভবন’ এখন ফরক্লোজারে।

গত ১৮ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার নিউইয়র্কের জ্যাকসন হাইটসের একটি পার্টি হলে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় এই তথ্য জানান অ্যাটর্নি জোসেফ ম্যাটেন।

মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন সভাপতি বদরুল হোসেন খান। পরিচালনা করেন ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক রোকন হাকিম। অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বদরুন নাহার খান মিতা, কাওসারুজ্জামান কয়েস, আতাউর রহমান সেলিম, মিজবাহ মজিদ, মিজবাহ আহমেদ, রেজাউল আলম অপু, জাবেদ আহমেদ, শামীম আহমেদ, অ্যাডভোকেট নাসির উদ্দীন আহমেদ, মোজাহিদুল ইসলাম, কিনু ইসলাম ও রিজু মোহাম্মদ।

অ্যাটর্নি জোসেফ ম্যাটেন আরো জানান, সংগঠনের বহিস্কৃত সাধারণ সম্পাদক মইনুল ইসলাম নিয়ম বর্হিভূতভাবে সংগঠনের তহবিল থেকে সাড়ে ৩ লাখ ডলার তুলে নিজ নামে এস্টোরিয়ায় বাড়িটি ক্রয় করেন। পরে এই ভবনের বাড়ির নাম দেন ‘জালালাবাদ ভবন’। কিন্তু ম্ইনুল ইসলাম গত এক বছর ধরে এই ভবনের মর্গেজ পরিশোধ করছেন না। এই কারণে ওয়াশিংটন ইকুয়েটি ব্যাংক বাড়িটি ফরক্লোজারে দিয়েছে। এই বাড়িটি ক্রয়কালে জালালাবাদ অ্যাসোসিয়েশনের অর্থ খরচ করেছেন মইনুল। আমার ক্লায়েন্টের (অ্যাসোসিয়েশন) অর্থ এই বাড়ির সাথে সংশ্লিষ্ট।

জোসেফ ম্যাটেন জানান, জালালাবাদ অ্যাসোসিয়েশনের নাম লিয়েন হিসেবে রয়েছে বাড়িটিতে। এমতাবস্থায় বাড়িটি ব্যাংক পুরোপুরিভাবে নিয়ে নিলে জালালাবাদ অ্যাসোসিয়েশন আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হবে। এই বিষয়টি জানানোর জন্যই আমি এখানে উপস্থিত হয়েছি।

এই ব্যপারে জালালাবাদের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক রোকন হাকিম অভিযোগ করেন, সংগঠনের অর্থে কেনা বাড়ির ভাড়া তুলছেন মইনুল। তারই (মইনুল) হিসাব মতে মর্গেজ দেওয়ার পরও ৮ শত ডলার হাতে থাকে প্রতিমাসে। এমতাবস্থায় মইনুল গত ১ বছর ধরে বাড়িটির মর্গেজ না দিয়ে সব অর্থ আত্মসাৎ করছেন।

মতবিনিময় সভায় প্রমাণাদি উত্থাপন করে অ্যাটর্নি জোসেফ ম্যাটেন বলেন, বাড়িটি এখনও ফরক্লোজারে রয়েছে। মইনুল কমিটির অনুমোদন না নিয়ে ব্যংক থেকে দুই দফা অর্থ তুলেছেন। প্রথম দফায় এম. আজিজের অ্যাকাউন্টে আড়াই লাখ ডলার ট্রান্সফার করেন। পরে অবশ্য তা ফান্ডে ফেরত আসে।

পরে নিজ সংগঠনের নামে বাড়ি কিনতে সাড়ে ৩ লাখ ডলার তুলে নেন। এই বাড়ি কিনতে ব্রোকারেজ ফি বাবদ দেখানো হয়েছে ৮৭ হাজার ডলার। অথচ এই ব্রোকারেজ কোম্পানির মালিকও মইনুল।

তার সকল অপকর্ম ও অনিয়মের বিরুদ্ধে আদালত তদন্ত সাপেক্ষে সঠিক রায় প্রদান করবে বলে মতবিনিময় সভায় আশা প্রকাশ করেন তিনি।

শেয়ারনিউজ, ২৫ জানুয়ারি ২০২৪

পাঠকের মতামত:

প্রবাস এর সর্বশেষ খবর

প্রবাস - এর সব খবর



রে