ঢাকা, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪
Sharenews24

শেয়ারবাজারের স্থিতিশীলতায় আরও উদার হল বাংলাদেশ ব্যাংক

২০২৩ আগস্ট ৩১ ১৮:২১:২৬
শেয়ারবাজারের স্থিতিশীলতায় আরও উদার হল বাংলাদেশ ব্যাংক

নিজস্ব প্রতিবেদক: শেয়ারবাজারে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে বন্ড যে বাধা হিসেবে ছিল তার দূর করে আবারও শেয়ারবাজারের প্রতি উদারতা দেখিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। বাংলাদেশ ব্যাংক নতুন নির্দেশনা জারি করে জানিয়েছে এখন থেকে ব্যাংক কোম্পানী কর্তৃক শেয়ারবাজারে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে বন্ড, ডিবেঞ্চার ও ইসলামিক শরীয়াহ ভিত্তিক নিদর্শনপত্র বিনিয়োগ সীমার বাহিরে থাকবে।

বৃহস্পতিবার (৩১ আগস্ট) ব্যাংক-কোম্পানী কর্তৃক শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ সংক্রান্ত নীতিমালা জারি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিচালক (ডিওএস) মোঃ জবদুল ইসলাম স্বাক্ষরি একটি বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

নীতিমালায় বলা হয়েছে, ব্যাংক-কোম্পানী আইন, ১৯৯১ এর অধিকতর সংশোধনকল্পে প্রণীত ব্যাংক-কোম্পানী (সংশোধন) আইন, ২০২৩ (২০২৩ সনের ১৩ নং আইন) এবং বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৩ তারিখে জারিকৃত ডিওএস সার্কুলার নং-০২ ও ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ তারিখে জারিকৃত ডিওএস সার্কুলার লেটার নং-০৭ এর প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করা যাচ্ছে।

ডিওএস সার্কুলার নং ০২/২০১৩ এবং ডিওএস সার্কুলার লেটার নং ০৭/২০১৪ এর মাধ্যমে ব্যাংক-কোম্পানী কর্তৃক যথাক্রমে এককভাবে এবং সমন্বিত ভিত্তিতে শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ সংক্রান্ত নির্দেশনায় সকল প্রকার শেয়ার, ডিবেঞ্চার, কর্পোরেট বন্ড, মিউচুয়াল ফান্ড ইউনিট এবং অন্যান্য শেয়ারবাজার নিদর্শনপত্র ব্যাংক-কোম্পানীর শেয়ারবাজার বিনিয়োগ কোষের অন্তর্ভুক্ত ছিল।

এক্ষণে, ব্যাংক-কোম্পানী আইন, ১৯৯১ এর ২৬ক ধারায় ২০২৩ সালে আনীত সংশোধনী অনুসারে ব্যাংক কোম্পানী কর্তৃক শেয়ারবাজারে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে বন্ড, ডিবেঞ্চার ও ইসলামিক শরীয়াহ ভিত্তিক নিদর্শনপত্র নির্ধারিত বিনিয়োগসীমা এর জন্য নির্দিষ্টকৃত বিনিয়োগ কোষের অন্তর্ভুক্ত হবে না।

এ লক্ষ্যে ডিওএস সার্কুলার নং-০৩/২০১৫ এর সাথে প্রদত্ত শেয়ারবাজার বিনিয়োগ সংক্রান্ত বিবরণীর ছকসমূহ সংশোধন করা হয়েছে। এককভাবে এবং সমন্বিতভাবে উভয় ভিত্তিতে সংশোধিত ছক অনুসরণপূর্বক পূর্বের ন্যায় যথানিয়মে শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ সংক্রান্ত বিবরণী (টিআইসিএম) দাখিল করতে হবে।

এই বিষয়ে বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকারস অ্যাসোসিয়েশস (বিএমবিএ) সভাপতি ছায়েদুর রহমান শেয়ারনিউজকে বলেন, পূর্বে যখন বন্ড অতালিকাভুক্ত ছিল, তখন বন্ডে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের বিনিয়োগ সীমা মানতে হয়নি। কিন্তু যখন বন্ড তালিকাভুক্ত হয়েছে তখন তা বিনিয়োগ সীমার মধ্যে এসেছে।

এতে করে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের বন্ডে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে বিনিয়োগ সীমা একটি সমস্যা হয়ে দাঁড়ায়। কিন্তু বাংলাদেশ ব্যাংকের এই নীতিমালার ফলে এখন আর বন্ডে বিনিয়োগ নিয়ে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের আর সমস্যায় পড়তে হবে না।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের এই নীতিমালার কারণে শেয়ারবাজারে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ বৃদ্ধি পাবে। এতে করে শেয়ারবাজার সামনের দিকে আরও এগিয়ে যাবে।

শেয়ারনিউজ, ৩১ আগস্ট ২০২৩

পাঠকের মতামত:

শেয়ারবাজার এর সর্বশেষ খবর

শেয়ারবাজার - এর সব খবর



রে