ঢাকা, মঙ্গলবার, ৯ ডিসেম্বর ২০২৫
Sharenews24

মা–মেয়ের মৃত্যুর তদন্তে পুলিশ হতবাক

২০২৫ ডিসেম্বর ০৯ ১৩:২৫:৪৬
মা–মেয়ের মৃত্যুর তদন্তে পুলিশ হতবাক

নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজধানীর মোহাম্মদপুরে একটি বহুতল ভবনের ফ্ল্যাট থেকে মা ও মেয়ের রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সোমবার (৮ ডিসেম্বর) সকালে লায়লা আফরোজ (৪৮) ও তার মেয়ে নাফিসা লাওয়াল বিনতে আজিজের (১৫) মরদেহ উদ্ধারের পর চার দিন আগে কাজে যোগ দেওয়া গৃহকর্মী আয়েশাকে প্রধান সন্দেহভাজন হিসেবে খুঁজছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

পুলিশ জানায়, আনুমানিক ২০ বছর বয়সী আয়েশা সোমবার সকালে বোরখা পরে কাজে প্রবেশ করেন এবং প্রায় দুই ঘণ্টা পর ফ্ল্যাট থেকে বের হন স্কুলড্রেস পরে, কাঁধে ব্যাগ ঝুলিয়ে। এই সময়টিতেই বাসায় খুন হন মা–মেয়ে।

হত্যাকাণ্ডের নৃশংসতা ও পদ্ধতি দেখে তদন্ত কর্মকর্তারা বলছেন, সাধারণ কেউ এভাবে হত্যা করতে পারে না; ঘাতক প্রশিক্ষিত বলেই ধারণা। সুরতহাল প্রতিবেদনে দেখা যায়, লায়লা আফরোজের শরীরজুড়ে ৩০টি ক্ষতের চিহ্ন রয়েছে, আর তার মেয়ে নাফিসার গলায় চারটি গভীর কোপের আঘাত পাওয়া গেছে। দুটি মরদেহেই ধারালো অস্ত্রের আঘাতে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের প্রমাণ মিলেছে।

লায়লা আফরোজের শরীরের বিভিন্ন স্থানে একাধিক ক্ষতচিহ্ন পাওয়া গেছে—বাম গালে ৩টি, থুতনিতে ৪টি, গলার নিচে ৫টি, বাম হাতে ৩টি, উভয় হাতের কব্জিতে ৩টি, বুকে ৯টি, পেটে ২টি এবং তলপেটে একটি গভীর জখম। অপরদিকে নাফিসার বুকে দুই পাশে ৪টি গুরুতর ক্ষতচিহ্ন ছিল।

ময়নাতদন্ত শেষে সোমবার রাতে মরদেহ দুটি পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। গৃহকর্মী আয়েশাকে একমাত্র আসামি করে মোহাম্মদপুর থানায় হত্যা মামলা করা হয়েছে।

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের তেজগাঁও বিভাগের উপ-কমিশনার ইবনে মিজান বলেন, “সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ চলছে। হত্যার আগে–পরে সন্দেহভাজনের উপস্থিতি এবং আচরণ বিশ্লেষণ করে তদন্ত এগিয়ে নেওয়া হচ্ছে।” তিনি আরও বলেন, “নৃশংসতার ধরন দেখে মনে হচ্ছে ঘাতক প্রশিক্ষিত। হত্যার পর সে বাথরুমে গিয়ে নিজেকে পরিষ্কার করে মেয়ের স্কুলড্রেস পরে বাসা থেকে বেরিয়ে যায়।”

পুলিশ আশা করছে, শিগগিরই নেপথ্যের কারণ উদ্ঘাটন করে আয়েশাকে আটক করা সম্ভব হবে।

মুসআব/

শেয়ারনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

পাঠকের মতামত:

জাতীয় এর সর্বশেষ খবর

জাতীয় - এর সব খবর



রে