ঢাকা, মঙ্গলবার, ২ ডিসেম্বর ২০২৫
Sharenews24

যে হাদিস বলার সময় মুচকি হেসেছিলেন মহানবী (সা.)

২০২৫ ডিসেম্বর ০২ ১৬:১৫:২৭
যে হাদিস বলার সময় মুচকি হেসেছিলেন মহানবী (সা.)

নিজস্ব প্রতিবেদক : মানুষ নফসের কবলে পড়ে ভুল–পাপ করেই ফেলে। তখন মনে প্রশ্ন জাগে—এ পাপ থেকে মুক্তি কি আছে? আবার কি নিষ্কলুষ হওয়া সম্ভব? পবিত্র কোরআন এ শঙ্কার জবাব পরিষ্কারভাবে দিয়েছে।

আল্লাহ তায়ালা বলেছেন—“যে তওবা করে, ঈমান আনে এবং সৎকর্ম করে—আল্লাহ তার পাপগুলোকে নেকিতে পরিবর্তন করে দেন। আল্লাহ ক্ষমাশীল, দয়ালু।”— সুরা আল–ফুরকান, আয়াত ৭০

এ আয়াতে শুধু ক্ষমার কথা নয়; বরং পাপকে নেকিতে রূপান্তরের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে, যা একমাত্র আল্লাহরই ক্ষমতা।

মুফাসসিরদের ব্যাখ্যা—ইবনে আব্বাস (রা.) ও হাসান আল–বাসরি (রহ.) বলেন: কুফর থেকে ইসলাম, দুর্বল ঈমান থেকে শক্তিশালী ঈমান, অবৈধ সম্পর্ক থেকে বিবাহ, বিদআত থেকে সুন্নাহ—এগুলোই গুনাহকে নেকিতে রূপান্তরের অর্থ।

অন্য আলেমদের মতে: বিষয়টি আক্ষরিকভাবেও সত্য হতে পারে—আসল পাপগুলোই আল্লাহ নেকিতে পরিণত করে দেন। আল্লাহর পক্ষে তা অসম্ভব নয়।

সাফওয়ান ইবনু মুহরিয (রহ.) বর্ণনা করেন—এক ব্যক্তি ইবনু ওমর (রা.)–কে জিজ্ঞেস করলেন কিয়ামতের দিনের গোপন কথোপকথন (নাজওয়া) সম্পর্কে। ইবনু ওমর (রা.) বললেন—“কিয়ামতের দিন মুমিনকে তার রবের কাছে আনা হবে। আল্লাহ তার ওপর পর্দা টেনে দেবেন এবং তার পাপগুলো নিয়ে তাকে জিজ্ঞেস করবেন।

আল্লাহ বলবেন—এসব পাপ তুমি জানো কি?সে বলবে—হে আমার রব! আমি জানি।আল্লাহ বলবেন—দুনিয়ায় এগুলো আমি লুকিয়ে রেখেছিলাম, আজ আমি তোমাকে ক্ষমা করে দিলাম।”

তারপর তাকে নেকির আমলনামা দেওয়া হবে।এ কথা শুনে লোকটি বলবে—“হে আল্লাহ! আমার বড় গুনাহগুলো কোথায়? সেগুলো তো দেখছি না!”

এই দৃশ্য বর্ণনা করতে গিয়ে রাসুল (সা.) এতটাই হাসলেন যে তাঁর দাঁত পর্যন্ত দেখা যাচ্ছিল। কারণ আল্লাহর সীমাহীন দয়ার কথা উল্লেখ করার সময় তাঁর অন্তর আনন্দে ভরে গিয়েছিল।— সহিহ মুসলিম

কিয়ামতের দিনে প্রকাশ্যে জবাবদিহি—এ দৃশ্য যেমন লজ্জার, তেমনি সৎতাও দাবি করে। তবে এই হাদিস জানিয়ে দেয়—যত গুনাহই হোক, আন্তরিক তওবা করলে আল্লাহ তা নেকিতে পরিণত করে দিতে পারেন।

মুসআব/

শেয়ারনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

পাঠকের মতামত:

ধর্ম ও জীবন এর সর্বশেষ খবর

ধর্ম ও জীবন - এর সব খবর



রে