ঢাকা, মঙ্গলবার, ২ ডিসেম্বর ২০২৫
Sharenews24

গুমের দায়ে মৃত্যুদণ্ডের বিধান রেখে অধ্যাদেশ জারি

২০২৫ ডিসেম্বর ০২ ১১:৫৮:২৯
গুমের দায়ে মৃত্যুদণ্ডের বিধান রেখে অধ্যাদেশ জারি

নিজস্ব প্রতিবেদক : গুম প্রতিরোধ ও প্রতিকার নিশ্চিত করতে সরকার নতুন অধ্যাদেশ জারি করেছে। অধ্যাদেশে গুমের দায়ে মৃত্যুদণ্ড, যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং কোটি টাকা পর্যন্ত অর্থদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে। এছাড়া, গুমের সাক্ষ্য-প্রমাণ নষ্ট করা বা গোপন আটককেন্দ্র স্থাপন ও ব্যবহার করলে সর্বোচ্চ সাত বছরের কারাদণ্ড হবে।

আইন মন্ত্রণালয়ের লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগ সোমবার রাতে অধ্যাদেশটি গেজেটে প্রকাশ করেছে। এর আগে ৬ নভেম্বর উপদেষ্টা পরিষদ অধ্যাদেশের খসড়া অনুমোদন করেছিল। অধ্যাদেশে জেলা ও বিভাগীয় পর্যায়ে বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠন এবং অভিযোগ গঠনের ১২০ কার্যদিবসের মধ্যে বিচার শেষ করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে।

অধ্যাদেশ অনুযায়ী, কোনো সরকারি কর্মচারী বা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য যদি কোনো ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার, আটক, অপহরণ বা স্বাধীনতা হরণ করার পর বিষয়টি অস্বীকার করে বা গোপন রাখে, তাহলে তা গুম বা শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে। অভিযুক্ত ব্যক্তি যাবজ্জীবন বা সর্বোচ্চ ১০ বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত হতে পারে। যদি গুমের ফলে ব্যক্তি মারা যান বা পাঁচ বছরের মধ্যে উদ্ধার সম্ভব না হয়, তাহলে দায়ীকে মৃত্যুদণ্ড বা যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া যেতে পারে।

এছাড়া, অধ্যাদেশে বলা হয়েছে যে, ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বা কমান্ডার যদি অধস্তনদের মাধ্যমে গুম সংঘটনে অংশ নেন বা অনুমতি দেন, তাহলে তারা মূল অপরাধের জন্য দণ্ডিত হবেন। অভিযুক্ত ব্যক্তি পলাতক হলেও অনুপস্থিতিতে বিচার সম্পন্ন করা যাবে। গুম হওয়া ব্যক্তির স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি পরিবারের ব্যবহারের জন্য ট্রাইব্যুনাল অনুমতি দিতে পারবে।

মুসআব/

শেয়ারনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

পাঠকের মতামত:

জাতীয় এর সর্বশেষ খবর

জাতীয় - এর সব খবর



রে