ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৫
Sharenews24

নতুন নিয়মে নাম-জন্মতারিখ সংশোধন করুন মাত্র কয়েক ধাপে

২০২৫ নভেম্বর ১৪ ১৮:১৩:৪০
নতুন নিয়মে নাম-জন্মতারিখ সংশোধন করুন মাত্র কয়েক ধাপে

নিজস্ব প্রতিবেদক: শিক্ষা সনদে নাম, পিতার নাম, মাতার নাম বা জন্মতারিখের ভুল এখন খুবই সাধারণ সমস্যা। তবে চিন্তার কোনো কারণ নেই। বাংলাদেশের সকল শিক্ষাবোর্ড এখন অনলাইনের মাধ্যমে এই ভুলগুলো দ্রুত সংশোধনের সুবিধা চালু করেছে। এর ফলে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা ঘরে বসে সহজভাবে সনদ সংশোধন করতে পারবেন।

প্রথম ধাপ

ভুল সংশোধনের জন্য প্রথমে নিজ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে গিয়ে সংশোধন ফর্ম পূরণ করতে হবে। ফর্ম পূরণের পর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে EIIN নম্বর ও পাসওয়ার্ড সংগ্রহ করতে হবে। এছাড়া নোটারি পাবলিকের মাধ্যমে এফিডেভিট তৈরি করতে হবে এবং সংশোধনের তথ্য পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি আকারে প্রকাশ করতে হবে।

অনলাইনে আবেদন প্রক্রিয়া

প্রথমে সংশ্লিষ্ট বোর্ডের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে হবে। উদাহরণস্বরূপ: ঢাকা বোর্ডের জন্য dhakaeducationboard.gov.bd, চট্টগ্রাম বোর্ডের জন্য bise-ctg.gov.bd। রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল, সিলেট ও কুমিল্লা বোর্ডের ওয়েবসাইট গুগল সার্চের মাধ্যমে খুঁজে প্রবেশ করতে হবে।

ওয়েবসাইটে ঢুকে ‘অনলাইন অ্যাপ্লিকেশন’ মেনুতে ক্লিক করে ‘নাম ও বয়স সংশোধনের আবেদন’ অপশন নির্বাচন করতে হবে। এরপর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে প্রাপ্ত EIIN নম্বর ও পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে লগইন করতে হবে।

ফর্ম পূরণ ও কাগজপত্র

লগইনের পর অনলাইন ফর্মে পরীক্ষার ধরন (JSC, SSC বা HSC), পাশের বছর, রোল নম্বর, রেজিস্ট্রেশন নম্বর এবং সংশোধন করতে চাওয়া তথ্য উল্লেখ করতে হবে। গুরুত্বপূর্ণ হলো নাম ও জন্মতারিখ একসাথে সংশোধন করা যাবে না; আলাদাভাবে আবেদন করতে হবে।

ফর্ম পূরণের সময় প্রয়োজনীয় কাগজপত্র স্ক্যান করে পিডিএফ আকারে আপলোড করতে হবে। এতে অন্তর্ভুক্ত থাকবে: জন্ম নিবন্ধন সনদ, পিতা ও মাতার জাতীয় পরিচয়পত্র, পূর্বের শিক্ষাগত সনদ, নোটারি এফিডেভিট এবং পত্রিকায় বিজ্ঞাপন প্রকাশের PDF কপি।

পত্রিকায় বিজ্ঞাপন ও ফি প্রদান

সংশোধনের জন্য পত্রিকায় বিজ্ঞাপন অনলাইনে তৈরি করা যায়। পত্রিকা নির্বাচন করে সংশোধনের তথ্য প্রদান করতে হবে এবং অনলাইনে পেমেন্ট সম্পন্ন করতে হবে। বিজ্ঞাপন সফলভাবে সাবমিট হলে PDF কপি ইমেইলে পাওয়া যাবে।

সার্টিফিকেট সংশোধনের ফি “সোনালী স্লিপ” সিস্টেমের মাধ্যমে প্রদান করতে হবে। ফর্ম পূরণের পর সোনালী স্লিপ ডাউনলোড করে অনলাইনে বা ব্যাংকে অর্থ জমা দিতে হবে।

আবেদন যাচাই ও সার্টিফিকেট গ্রহণ

আবেদন জমা দেওয়ার পর বোর্ড কর্তৃপক্ষ সংশ্লিষ্ট ডকুমেন্ট যাচাই করবে। প্রয়োজনে আবেদনকারীকে ভাইভার জন্য কল বা এসএমএস পাঠানো হতে পারে। ভাইবার সময় সকল মূল কপি সঙ্গে রাখতে হবে। সাধারণত দুই থেকে তিন মাসের মধ্যে সংশোধন কার্যক্রম সম্পন্ন হয়, তবে বোর্ডভেদে সময় কম-বেশি হতে পারে।

আবেদন গ্রহণযোগ্য হলে বোর্ড একটি নির্দিষ্ট তারিখ নির্ধারণ করবে, যেখানে পুরনো সার্টিফিকেট জমা দিয়ে নতুন সংশোধিত সার্টিফিকেট সংগ্রহ করা যাবে।

বাংলাদেশের শিক্ষাবোর্ডের এই আধুনিক অনলাইন ব্যবস্থা শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের সময় ও শ্রম বাঁচাতে অত্যন্ত কার্যকর। ঘরে বসেই অনলাইনে সহজভাবে সার্টিফিকেট সংশোধন করা এখন সহজ এবং নিরাপদ।

মুসআব/

শেয়ারনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

পাঠকের মতামত:

জাতীয় এর সর্বশেষ খবর

জাতীয় - এর সব খবর



রে