ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৫
Sharenews24

বিবিসিকে ইমেইলে বিস্ফোরক বার্তা দিলেন শেখ হাসিনা

২০২৫ নভেম্বর ১৪ ১৫:১৪:২৬
বিবিসিকে ইমেইলে বিস্ফোরক বার্তা দিলেন শেখ হাসিনা

নিজস্ব প্রতিবেদক: গণঅভ্যুত্থানের মুখে ক্ষমতাচ্যুত বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত বছরের জুলাইয়ের আন্দোলনকে কেন্দ্র করে তার বিরুদ্ধে আনা মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। আসন্ন বিশেষ ট্রাইব্যুনালের রায় ঘোষণার আগে বিবিসিকে দেওয়া এক ইমেইল সাক্ষাৎকারে তিনি এসব অভিযোগকে “রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের সাজানো প্রহসন” বলে দাবি করেন।

২০২৪ সালের ৫ আগস্ট দেশত্যাগের পর এটিই ছিল বিবিসিকে দেওয়া তার প্রথম সাক্ষাৎকার।

ট্রাইব্যুনালে রাষ্ট্রপক্ষ হাসিনার মৃত্যুদণ্ড দাবি করেছে। রায়কে ঘিরে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। বিক্ষোভ দমনে তার সরকারের সময় শতাধিক মানুষ নিহত হওয়ার অভিযোগ রয়েছে, যা তিনি প্রত্যাখ্যান করেছেন। জাতিসংঘের মানবাধিকার তদন্তকারীরা দাবি করেছেন, সেই সময়ে সহিংসতায় প্রায় ১,৪০০ মানুষের মৃত্যু ঘটে—যা নিয়ে বিতর্ক রয়েছে।

অডিও ক্লিপ, নির্দেশনার অভিযোগ ও হাসিনার ব্যাখ্যা

দেশত্যাগের আগের সপ্তাহগুলোতে বিক্ষোভ দমনে নিরাপত্তা বাহিনীকে গুলি চালানোর অনুমতি দেওয়ার অভিযোগ থাকলেও শেখ হাসিনা বলেন, তিনি কখনো “নিরস্ত্র বেসামরিকদের ওপর গুলি চালানোর নির্দেশ দেননি”।

এ বছরের শুরুতে ফাঁস হওয়া একটি অডিও ক্লিপ বিশ্লেষণ করে বিবিসি জানিয়েছিল—সেখানে “প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহারের” ইঙ্গিত পাওয়া যায়। আদালতে ওই অডিওও উপস্থাপন করা হয়েছে।

জুলাইয়ে সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনকে নিয়ে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গঠন হয়। পলাতক কামালের মৃত্যুদণ্ড চেয়েছে রাষ্ট্রপক্ষ, আর দোষ স্বীকার করা মামুনের সাজা এখনো নির্ধারিত হয়নি।

আইনজীবী না পাওয়া, রাজনৈতিক উদ্দেশ্য—হাসিনার অভিযোগ

শেখ হাসিনা অভিযোগ করেন, তিনি ইচ্ছামতো আইনজীবী নিয়োগ বা নিজের বক্তব্য উপস্থাপনার সুযোগ পাননি। বিরোধী রাজনৈতিক শক্তি আওয়ামী লীগকে “রাজনৈতিকভাবে নির্মূল” করতে এসব মামলার আশ্রয় নিয়েছে বলে দাবি করেন তিনি। তার আইনজীবীরা জাতিসংঘে জরুরি আপিল দাখিল করেছেন।

নির্বাচনে নিষেধাজ্ঞা ও নতুন অভিযোগগুলো

আগামী ফেব্রুয়ারির জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগের অংশগ্রহণে আগেই নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। মানবাধিকার লঙ্ঘন সংশ্লিষ্ট আরও কয়েকটি মামলার বিচার চলছে, যেখানে হাসিনা সব অভিযোগ অস্বীকার করছেন।

ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর দেশে গোপন কারাগারের অস্তিত্ব এবং সেখানে মানুষকে আটক রাখার অভিযোগ উঠেছে। অপহরণ, গুম ও বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড সম্পর্কে নিজের অজ্ঞতার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন—“যদি কোনো কর্মকর্তার অপব্যবহারের প্রমাণ থাকে, তা নিরপেক্ষভাবে তদন্ত হওয়া উচিত।”

দুর্নীতি ও অন্যান্য অভিযোগে তার সাবেক সরকারের একাধিক শীর্ষ ব্যক্তি বর্তমানে আইনি প্রক্রিয়ার মুখোমুখি, যেগুলো তারা অস্বীকার করছেন।

মুসআব/

শেয়ারনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

পাঠকের মতামত:

জাতীয় এর সর্বশেষ খবর

জাতীয় - এর সব খবর



রে