ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৫
Sharenews24

বিয়ে করলেই নাগরিকত্ব পাওয়া যায় যে দেশগুলোতে 

২০২৫ নভেম্বর ১৪ ১০:২৯:৩২
বিয়ে করলেই নাগরিকত্ব পাওয়া যায় যে দেশগুলোতে 

নিজস্ব প্রতিবেদক: বিশ্বায়নের যুগে মানুষ ব্যক্তিগত, পেশাগত এবং নিরাপত্তার কারণে বিদেশে বসবাসের সুযোগ খোঁজেন। বিশেষ করে দ্বৈত নাগরিকত্ব পাওয়ার সুবিধা থাকলে পরিবার, ব্যবসা ও ভ্রমণের ক্ষেত্রে বাড়তি সুবিধা মেলে। বিশ্বের কয়েকটি দেশ রয়েছে যেখানে স্থানীয় নাগরিককে বৈধভাবে বিয়ে করলে নাগরিকত্ব পাওয়া যায় নির্দিষ্ট সময়ে। নিচে প্রতিটি দেশের নিয়ম বিস্তারিতভাবে ব্যাখ্যা করা হলো—

তুরস্ক

তুরস্কের নাগরিককে বিয়ে করলে তিন বছর একসাথে বসবাসের পর নাগরিকত্বের আবেদন করা যায়।এসময় বিবাহিত যুগলকে প্রমাণ করতে হয় যে তাদের সম্পর্ক সত্যিকারের এবং সামাজিকভাবে গ্রহণযোগ্য।

তুরস্কের পাসপোর্ট আন্তর্জাতিকভাবে শক্তিশালী হিসেবে বিবেচিত হয়। এই পাসপোর্টে ১১০টির বেশি দেশে ভিসা ফ্রি বা ভিসা অন অ্যারাইভাল সুবিধা রয়েছে, যা বিদেশ ভ্রমণকে খুব সহজ করে তোলে। এছাড়া তুরস্কে বসবাস, ব্যবসা বা সম্পত্তি বিনিয়োগের সুযোগও বাড়ে।

স্পেন

স্পেনে বিয়ে করে নাগরিকত্ব পাওয়ার নিয়ম তুলনামূলক সহজ। স্প্যানিশ নাগরিককে বিয়ে করে মাত্র এক বছর বৈধভাবে একসঙ্গে বসবাস করলেই নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করা যায়, যা ইউরোপের দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম কম সময়সীমা।

নাগরিকত্ব পাওয়ার পর স্পেনের ইউরোপীয় ইউনিয়নের সুবিধাগুলো যেমন ইউরোপে অবাধ চলাচল, কাজের সুযোগ ও স্থায়ী বসবাসের অধিকার পাওয়া যায়। পাশাপাশি স্পেন কিছু দেশের সাথে দ্বৈত নাগরিকত্বের সুবিধা দেয়—যেমন লাতিন আমেরিকা, ফিলিপাইন এবং পর্তুগাল। আবেদন করতে হলে বৈধ বিবাহ নিবন্ধন, একসাথে থাকার প্রমাণ এবং পরিচয়পত্রসহ অন্যান্য নথিপত্র জমা দিতে হয়।

আর্জেন্টিনা

আর্জেন্টিনার নিয়মও বেশ সুবিধাজনক। আর্জেন্টিনার নাগরিককে বিয়ে করার পর দুই বছর পার হলেই নাগরিকত্বের আবেদন করা যায়।

অন্য দেশগুলোর মতো কঠোর নয় এখানের ভাষা বা সাংস্কৃতিক পরীক্ষাও। শুধু মৌলিক স্প্যানিশ জ্ঞান, বৈধ বিয়ের সনদ, পুলিশ ক্লিয়ারেন্স ও কিছু প্রয়োজনীয় কাগজপত্র লাগবে। আর্জেন্টিনার পাসপোর্ট আন্তর্জাতিকভাবে সম্মানজনক এবং ভিসা সুবিধাও তুলনামূলক ভালো। এছাড়া দক্ষিণ আমেরিকায় ব্যবসা বা বসবাসের সুযোগও সহজ হয়ে যায়।

মেক্সিকো

মেক্সিকোয় বিয়ে করেও নাগরিকত্ব পাওয়া যায় অপেক্ষাকৃত কম শর্তে। মেক্সিকান নাগরিককে বিয়ে করে দুই বছর একসাথে বসবাস করলেই নাগরিকত্বের আবেদন করা যায়।আবেদনকারীকে মৌলিক স্প্যানিশ ভাষা জানতে হবে এবং বৈধ বিয়ের সনদ, একসাথে থাকার প্রমাণ ও পরিচয়পত্র জমা দিতে হবে। মেক্সিকোর পাসপোর্টে বিশ্বব্যাপী ভালো ভ্রমণ সুবিধা রয়েছে এবং দেশের জীবনযাত্রার ব্যয় তুলনামূলক কম হওয়ায় বিদেশিদের জন্য আকর্ষণীয় স্থান।

সুইজারল্যান্ড

সুইজারল্যান্ডে নাগরিকত্ব পাওয়া সবচেয়ে কঠিনগুলোর মধ্যে একটি। তবে বিয়ের মাধ্যমে প্রক্রিয়াটি কিছুটা সহজ হয়। সুইস নাগরিককে বিয়ে করলে প্রথমে তিন বছর একসাথে থাকতে হয়, এরপর পাঁচ বছর দেশটিতে বসবাস করতে হয়।

যদি দেশটির বাইরে থাকেন, তবে ছয় বছরের বিবাহিত জীবন পার হলে নাগরিকত্বের আবেদন সম্ভব। আবেদন প্রক্রিয়ায় সুইস ভাষা (জার্মান/ফরাসি/ইতালিয়ান), দেশটির সংস্কৃতি, আইন ও সমাজ সম্পর্কে জ্ঞান দেখাতে হয়। অপরাধমুক্ত রেকর্ড এবং দাম্পত্য সম্পর্কের সত্যতা এখানে খুব গুরুত্বপূর্ণ। সুইস পাসপোর্ট বিশ্বের অন্যতম শক্তিশালী পাসপোর্ট।

কেপ ভার্দ

পশ্চিম আফ্রিকার দ্বীপরাষ্ট্র কেপ ভার্দের নিয়ম তুলনামূলক সহজ। এখানকার নাগরিককে বৈধভাবে বিয়ে করলে নাগরিকত্বের আবেদন সরাসরি করা যায়, দীর্ঘ অপেক্ষা বা কঠোর শর্ত নেই।কেপ ভার্দ একটি শান্ত, স্থিতিশীল ও পর্যটনসমৃদ্ধ দেশ হওয়ায় বিদেশিদের কাছে আকর্ষণীয় হয়ে উঠছে।

মুসআব/

শেয়ারনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

পাঠকের মতামত:

আন্তর্জাতিক এর সর্বশেষ খবর

আন্তর্জাতিক - এর সব খবর



রে