ঢাকা, বুধবার, ১২ নভেম্বর ২০২৫
Sharenews24

সাবেক এমপি-মন্ত্রীদের দামি ৩১ গাড়ি নিয়ে নতুন নির্দেশনা

২০২৫ নভেম্বর ১২ ১৬:৫৮:০৪
সাবেক এমপি-মন্ত্রীদের দামি ৩১ গাড়ি নিয়ে নতুন নির্দেশনা

নিজস্ব প্রতিবেদক: বিলুপ্ত দ্বাদশ জাতীয় সংসদের সাবেক সদস্য ও মন্ত্রীদের বিশেষ শুল্কমুক্ত সুবিধায় আমদানিকৃত ৩১টি বিলাসবহুল গাড়ি সরকারি যানবাহন অধিদপ্তরে হস্তান্তরের নির্দেশ দিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।বুধবার (১২ নভেম্বর) এ বিষয়ে একটি বিশেষ আদেশ জারি করে সংস্থাটি।

এনবিআর জানায়, বিলুপ্ত সংসদের সময় কিছু এমপি ও মন্ত্রী বিশেষ শুল্কমুক্ত সুবিধায় গাড়ি আমদানি করেছিলেন। তবে চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউস থেকে এ বিষয়ে নির্দেশনা চাওয়ার পর ২০২৪ সালের ৮ ডিসেম্বর এনবিআর জানায়— সংসদ ভেঙে যাওয়ার পর এই সুবিধা আর কার্যকর নয়।

ফলে গাড়িগুলো খালাস করতে হলে আমদানিকারকদের স্বাভাবিক হারে শুল্ক ও কর পরিশোধ করতে হতো।কিন্তু কর না দেওয়ায় গাড়িগুলো খালাস হয়নি।

পরবর্তীতে কাস্টমস আইন, ২০২৩–এর ধারা ৯৪(৩) অনুযায়ী গাড়িগুলো নিলামে তোলা হয়। তবে উচ্চমূল্যের কারণে কোনো ক্রেতা যৌক্তিক দর হাঁকেননি, ফলে গাড়িগুলো বিক্রিও হয়নি।

পরিস্থিতি বিবেচনায় আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়— জনস্বার্থে এসব গাড়ি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অধীনে সরকারি যানবাহন অধিদপ্তরে হস্তান্তর করা হবে।

এনবিআরের হিসাব অনুযায়ী, ৩১টি গাড়ির বিপরীতে মোট প্রদেয় শুল্ক ও করের পরিমাণ ২৬৯ কোটি ৬১ লাখ ৮৯ হাজার ৬০০ টাকা।

প্রতি গাড়ির সর্বোচ্চ প্রদেয় শুল্ক ও কর: ৯ কোটি ৪৪ লাখ ৮৩ হাজার ৩০০ টাকা

সর্বনিম্ন প্রদেয় শুল্ক ও কর: ৮ কোটি ৬২ লাখ ৬৭ হাজার ৪০০ টাকা

এনবিআর আরও জানিয়েছে, ভবিষ্যতে যদি সংশ্লিষ্ট আমদানিকারকরা প্রযোজ্য শুল্ক-কর পরিশোধ করে আইনানুগ পদ্ধতিতে গাড়িগুলো নিতে চান, তাহলে চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউস প্রয়োজনীয় মূল্যায়ন শেষে তাদের অনুকূলে ছাড়পত্র দিতে পারবে। সে ক্ষেত্রে সরকারি যানবাহন অধিদপ্তর গাড়িগুলো কাস্টমস কর্তৃপক্ষের কাছে ফেরত দেবে।

এ প্রসঙ্গে এনবিআরের এক কর্মকর্তা বলেন,“জনস্বার্থে এসব উচ্চমূল্যের গাড়ি সরকারি সম্পদ হিসেবে ব্যবহার করা হবে। একই সঙ্গে আমদানিকারকদের প্রতি আইনানুগ দায়বদ্ধতাও বহাল থাকবে।”

মুসআব/

শেয়ারনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

পাঠকের মতামত:

জাতীয় এর সর্বশেষ খবর

জাতীয় - এর সব খবর



রে