ঢাকা, রবিবার, ২০ জুলাই ২০২৫
Sharenews24

আলোচিত কিডনিকাণ্ডে এবার নতুন মোড়

২০২৫ জুলাই ২০ ১৬:৪৩:৫৪
আলোচিত কিডনিকাণ্ডে এবার নতুন মোড়

নিজস্ব প্রতিবেদক : সাভারের আলোচিত কিডনি কেলেঙ্কারিতে এবার মুখ খুলেছেন উম্মে সাহেদীনা টুনির স্বামী মো. তারেক। তার দাবি, স্ত্রী টুনির পরকীয়ার জেরে তাদের দাম্পত্য জীবনে অশান্তি শুরু হয়। এমনকি কিডনি দেওয়ার শর্ত হিসেবে তাকে বাড়ির দ্বিতীয় তলা ও এক শতাংশ জমি লিখে দিতে বাধ্য করেন টুনি।

তারেক জানান, মালয়েশিয়া থেকে ফিরে সাভারের কলমা এলাকায় স্থায়ী হন তিনি। ২০০৬ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি টুনিকে বিয়ে করেন। দুই বছরের মধ্যেই তার কিডনি সমস্যা ধরা পড়ে। ভারতের চিকিৎসকের পরামর্শে কিডনি প্রতিস্থাপনের সিদ্ধান্ত নেন। সে সময় টুনি কিডনি দিতে রাজি হন, তবে বাড়ির মালিকানা ও জমি লিখে নেওয়ার শর্তে। কিডনি প্রতিস্থাপনের পরেও তার শারীরিক সক্ষমতা কমে যায়।

তারেকের অভিযোগ, এরপর থেকেই টুনির টিকটক আসক্তি বাড়তে থাকে এবং চরিত্রে পরিবর্তন আসে। একদিন বাড়ির এক ভাড়াটিয়ার সঙ্গে আপত্তিকর অবস্থায় টুনিকে হাতেনাতে ধরেন তিনি। চড় মারার ঘটনায় তার বিরুদ্ধে নারী নির্যাতন ও যৌতুকের মামলা হয়। জেলেও যেতে হয় তাকে।

তারেক বলেন, “আমি তখন শারীরিকভাবে অক্ষম। পরকীয়া করব কীভাবে? অথচ টুনি আমাকে অনলাইন জুয়া ও পরকীয়ায় জড়ানোর গল্প বানিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচার করে।”

চোখে দেখা সাক্ষীও দিলেন বক্তব্য, বাড়ির সাবেক ভাড়াটিয়া মো. হৃদয় খান বলেন, “তারেক যা বলেছেন, সবই সত্য। টুনির চরিত্র নিয়ে আগে থেকেই জানতাম।”

বর্তমানে ভাইয়ের বাসায় থাকছেন তারেক। তিনি বলেন, “বাড়ির ভাড়া টুনি নিচ্ছে, অথচ আমি চিকিৎসার খরচের জন্য হাহাকার করছি। এখনো তালাক হয়নি। এই পরিস্থিতিতে টুনির আচরণ অমানবিক।”

এর আগে টুনি দাবি করেছিলেন, কিডনি দেওয়ার পর তারেক পরকীয়া ও অনলাইন জুয়ার সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন এবং মারধর করে বাড়ি থেকে বের করে দেন।

তারেক আরও বলেন, টুনির পরকীয়া প্রেমিকদের মধ্যে রয়েছেন এক থাইল্যান্ড প্রবাসী, তার ঘনিষ্ঠ এক বন্ধু, একজন গার্মেন্টস মালিক এবং বাড়ির এক ভাড়াটিয়া।

অভিযোগ বিষয়ে জানতে চাইলে টুনি বলেন, “আমার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ সত্য নয়।”

মুয়াজ/

পাঠকের মতামত:

জাতীয় এর সর্বশেষ খবর

জাতীয় - এর সব খবর



রে